ফটোগ্রাফী ও ফটোগ্রাফার বর্তমান সময়ে খুব পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সৌখিন পেশা। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। মূলত ডিএসএলআর ক্যামেরা এখন সহজ লভ্য হওয়ায় প্রায় সবার হাতেই এই ক্যামেরা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এই বিশেষ ক্যামেরা গুলো কিনে এখনকার তরুণ প্রজন্মের অনেকেই শখের বসে ফটোগ্রাফার হয়ে যাচ্ছে। এতে কেউ সফল হচ্ছে আবার কেউ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভাল ছবি তোলার। কেউ ফটোগ্রাফীর উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ছবি তুলছে কেউ বা আবার নিজে থেকে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ছবি তুলে যাচ্ছে।
পর্যটন নগরীর তরুণরাও পিছিয়ে নেই এই শিল্প থেকে। কক্সবাজারে প্রায় অর্ধশত তরুণরা এখন শখের বসে ফটোগ্রাফী করছে। যাদের মধ্যে অন্যতম আমজাদ পারভেজ। জেলার বেশ ক’জন ভাল ফটোগ্রাফারের মধ্যে প্রথমেই আসে আমজাদ পারভেজের নাম। দক্ষিণ বাহারছড়ার আবুল মঞ্জুরের ছেলে পারভেজ পেশায় একজন শিক্ষানবীশ আইনজীবী। পাশাপাশি সে শখের বসে ফটোগ্রাফীও করছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে ফটোগ্রাফীর উপরে প্রশিক্ষণ নেন। এক পর্যায়ে কক্সবাজারে এসে তার পেশার পাশাপাশি ফটোগ্রাফী শুরু করেন। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের অন্তত পাঁচ শতাধীক তরুণ-তরুনীর ছবি তুলে তিনি এরই মধ্যে প্রশংসিত হয়েছেন। তার এই ফটোগ্রাফী নৈপূণ্যে মুগ্ধ জেলার তরুন প্রজন্ম।
এই পর্যন্ত সে যাদের ছবি তুলে দিয়েছেন সবাই তার তুলে দেয়া ছবির প্রশংসা করেছেন। আমজাদ পারভেজের বেশিরভাগ ছবির মডেল হয়েছেন দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকার নুরুল আমিন। আমিন বলেন, পারভেজের মধ্যে ছবি তোলার দারুন প্রতিভা রয়েছে। সে খুব নিখুত ও সাবলিল ভাবে ছবি তুলে। তিনি আরো বলেন, মডেল আর ফটোগ্রাফারের মধ্যে বোঝাপরাটা অনেক জরুরী আর পারভেজের মধ্যে সেই দক্ষতাটাও অনেক ভাল আছে। এক কথায় আমি ওর ভক্ত।
পারভেজের আরেক মডেল সৈকত ইসলাম বলেন, পারভেজের ছবি তোলার হাত অসাধারণ। সে দারুন ছবি তোলে। আমি আমার ফেইসবুকে পারভেজে তুলে দেয়া ছবি ছাড়া অন্য কোন ছবি পোষ্ট করি না। কারন ছবির একটি গুনগত মান রয়েছে। একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব ছবির মধ্যে দিয়ে অনেকাংশে প্রকাশ পাই। তাই আমি পারভেজের তুলে দেয়া ছবি ফেইসবুকে ব্যবহার করি।
উইডিং, ফ্যাশন, কাপল আর সিংগ্যাল ফটোশ্যূাটের জন্য কক্সবাজারে এখন আলোচিত ফটোগ্রাফার পারভেজ। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, শান্ত মেজাজী, মিশুক, আড্ডা প্রেমী ও বন্ধু সুলভ আচরনের কারনেই এত কম সময়ে তিনি ফটোগ্রাফীতে ভাল অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন।
পারভেজ জানান, শখের কারনেই তিনি ফটোগ্রাফী করছেন। ছবি তুলতে তার অনেক ভাল লাগে। তিনি আরো বলেন, একটি ভালো ছবির মধ্যদিয়ে একজন মানুষের সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটানো যায়। আর তাই আমি চেষ্টা করি সবার সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে আর এটা করে আমি আনন্দ পাই।
ফটোগ্রাফী নিয়ে তার ভবিষৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কক্সবাজারে অনেকেই ফটোগ্রাফী করছেন। তবে এখানে এখন পর্যন্ত ভাল একটি ফটোগ্রাফী ইভেন্ট তৈরী হয়নি। আমি চাই কিছু ভাল প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার নিয়ে একটি ফটো ইভেন্ট টীম বানাতে। যে টীমের কাজ হবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রুচিশীল ছবি তোলা।
পাঠকের মতামত: